Banophool Bane by Tarun Mukhopadhyay
আমাদের কৈশোরে বনফুল নামের মিতাক্ষর আর মাধুর্য এবং ‘ছোটগল্প’ প্রায় সমার্থক বলে মনে হত। বিস্ময় আর কৌতূহলে পড়তাম ছোটো ছোটো গল্পগুলি। যার শুরু ও শেষের অভিনবত্ব, চমক সত্যই চমৎকৃত করতো আমাদের। আরও পরে জানতে পারি বনফুল একজন ঔপন্যাসিক এবং রঙ্গব্যঙ্গমূলক কবিতার রচয়িতা। সেগুলির অল্পবিস্তর আস্বাদ নিতে নিতেই জানা যায়, তিনি একজন সফল নাট্যকারও। অন্তত জীবনী নাটক রচনায় তিনি পথিকৃৎ। আর এভাবেই আমার বনফুল পাঠ ও চর্চা শুরু হয়ে যায় একদিন।
শতবর্ষজীবী কোনো লেখকের লেখা নিয়ে যখনই আলোচনা হয়, দেখা যায়, নতুন করে তাঁকে খোঁজা হয়, ভাবা হয়। সেটাই সংগত ও স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথের পরে তিরিশ দশক পর্যন্ত যেসব লেখক এসেছেন দেখা যায় তাঁরা প্রত্যেকেই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কাউকেই খাটো করে দেখা যায় না। যে তিনজন কথাসাহিত্যিকের জন্মশতবর্ষ পালিত হয়েছে বা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে বিভূতিভূষণ ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য গদ্য সাহিত্যেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন। নাট্যকার তারাশঙ্করও যে অভিনন্দিত হননি এমন নয়। তবু তাঁর স্বক্ষেত্র ছিল উপন্যাস। বনফুল সম্পর্কে কিন্তু এমন কথা বলা যাবে না।
পেশায় ডাক্তার, ভাগলপুরবাসী বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় সাহিত্যের প্রতিটি বিষয়ে কম বেশি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর সাহিত্যাকাশে উঁকি দিয়ে রসগ্রহণ করতেই তাই অধ্যাপক তরুণ মুখোপাধ্যায়ের কলমে প্রকাশিত হতে চলেছে “বনফুল-বনে”।